তৃতীয় ধাপে (২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য) নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। প্রতিক বরাদ্দের আগেই শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন তিনি।
জনগণের চাপে প্রথমে প্রার্থী হলেও দলীয় সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠোর হওয়ায় দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করছেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি একাধিকবার যোশর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সে সুবাদে জনগণের সাথে সম্পৃক্ততাসহ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছি। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। এতে আমার দলীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছেন। আমার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কাছে দলের অবস্থান অত্যন্ত নগন্য। আমি মনে করেছিলাম, প্রার্থী হলে দল কিছুটা নমনীয় হবে। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠোর হওয়ায় দলের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহী, শিবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ রিকাবদার ছাড়াও পৌর বিএনপির সভাপতি বাবুল মৈশান, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহী বলেন, তোফাজ্জল হোসেন ছাত্রজীবনে সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। যোশর ইউনিয়নের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া অন্যায়ের কিছু ছিল না। তবে আমরা যেহেতু দলীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করেছি। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। তাই দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর জন্য তোফাজ্জল হোসেনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ না করার অনুুরোধ করেন তিনি।
এসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ রিকাবদার বলেন, সাধারণ মানুষ এই সরকারকে ভয় পায়। হত্যা, গুমসহ অগণতান্ত্রিক উপায়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর জেল জুলুমসহ নানা কার্যক্রম করে যাচ্ছে। এই সরকারের প্রতিটি নির্বাচন মানুষ প্রত্যাখান করেছে। যার কারণে ভোট কেন্দ্রে ভোটার নয়, পশু-পাখি এসব বসে থাকে। যা আপনারা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছেন।