দেশের চার বিভাগ—রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালের ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে, যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল এ সতর্কবার্তা জারি করা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। আশপাশের এলাকায় এটি আরো বিস্তৃত হতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও উঠতে পারে। চলতি মৌসুমে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল চুয়াডাঙ্গায়। মঙ্গলবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় জেলাটিতে, ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিলে দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কাও দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।