নরসিংদীর রায়পুরায় আন্তনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পরে ওই ব্যক্তির লাশ ইঞ্জিনের হুকে আটকে যায়। ওই অবস্থায় লাশটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের ভৈরব রেলস্টেশন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। একপর্যায়ে ট্রেন থামিয়ে লাশ সরিয়ে রাখার পর তা উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশনসংলগ্ন রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভৈরব রেলস্টেশনসংলগ্ন স্থানে লাশ রেখে চলে যাওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে ওই লাশ উদ্ধার করে ভৈরব রেলওয়ে থানার পুলিশ।

মৃত ব্যক্তির নাম আবদুল বারিক (৭২)। তিনি নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা। হাসনাবাদ বাজারে পানের দোকানদার ছিলেন আবদুল বারিক।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন দ্রুতগতিতে অতিক্রম করছিল। এ সময় আবদুল বারিকও রেললাইন পার হয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন। ট্রেনটির ধাক্কায় তাঁর দেহ রেললাইনের ওপর না পড়ে শূন্যে উঠে যায়। এরপর লাশটি ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকের সঙ্গে আটকে যায়।

বিষয়টি ট্রেনের কর্মীরা তখন বুঝতে পারেননি। বিরতিহীন হওয়ায় ট্রেনটিও কোথাও না থেমে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি চলে যায়। তখন ইঞ্জিনের হুকে লাশ আটকে থাকার বিষয়টি টের পেয়ে ট্রেন থামান লোকোমাস্টার। ট্রেনটির কর্মীরা দ্রুত লাশটি সরিয়ে রেখে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কার্তিক চন্দ্র রায় সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর লাশ রেলওয়ে থানায় এনে রাখা হয়। খবর পেয়ে নিহতের ছেলে ইমরান মিয়া থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করেন।

ইমরান মিয়া বলেন, ‘সকালের নাশতা খেয়ে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন। অসাবধানতাবশত রেললাইন পার হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। বাবার লাশ কাটাছেঁড়া হোক আমরা চাই না। বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তরের আবেদন করা হয়েছে।’

ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই কার্তিক চন্দ্র রায় মুঠোফোনে বলেন, রায়পুরার আমিরগঞ্জ রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকায় অসতর্কভাবে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *