সন্দেশ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের সাতই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন যে পরিবেশে হয়েছে তা “দুঃখজনক” বলে এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের ওয়েবসাইটে ১০ই জানুয়ারি “বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ইলেকশনস” শিরোনামে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সাতই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল লক্ষ্য করেছে।
“আমরা এই বিষয়কে স্বাগত জানাই যে, নির্বাচনের দিন বাংলাদেশি লাখো ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে। কিন্তু দুঃখজনক যে, এমন একটা পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সব অংশীদাররা অর্থপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি”।
বাংলাদেশের সাথে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন।”
“অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে”, যোগ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বাংলাদেশের সরকারকে এর “গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে অগ্রাধিকার” দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া যা “মানবাধিকারের সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রা”- কে সমর্থন করে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের যৌথ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ১০ই জানুয়ারি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) নির্বাচনে বড় সব রাজনৈতিক দল না আসায় হতাশা প্রকাশ করে। নির্বাচনের বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ আহবান জানিয়েছে।
একইসাথে সাতই জানুয়ারির নির্বাচনে হওয়া অনিয়মগুলোর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহবান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গত মঙ্গলবার রাতে দেয়া বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, “গত রবিবার বাংলাদেশে যে সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তা লক্ষ্য করেছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ভিত্তিতে ইইউ ও বাংলাদেশের যে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব তা পুনর্ব্যক্ত করছে।”