নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য রুবেল আহমেদকে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে এবং গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের পাকুরিয়া এলাকায় সড়কের উপর এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল আহমেদ (৩৪) সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য এবং একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিগত নির্বাচনে প্রথমবারের মত ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য নির্বাচিত হন রুবেল। প্রতিদিনের ন্যায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বাড়ী থেকে বের হন রুবেল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল নামের একজনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে আজ সকালে নরসিংদী আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন মো. রুবেল মিয়া। বাড়ি ফেরার পথে বেলা দেড়টার দিকে পাকুরিয়া বাজারসংলগ্ন মসজিদ পার হওয়ার সময় প্রাইভেট কার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওত পেতে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় সাত থেকে আটজন মোটরসাইকেলটির পথ রোধ করে। পরে কয়েকজন এসে রুবেলের সঙ্গে করমর্দন করে কথাবার্তা বলছিল। এ সময় পেছন থেকে একজন রুবেলকে গুলি করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সামনে থাকা কয়েকজন তাঁর বুকে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে। পরে তাঁর গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা প্রাইভেট কার ও অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে মাধবদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মো. রুবেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার বিষয়ে জানতে সঙ্গে থাকা ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আমদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ ইবনে রহিজ বলেন, কে বা কারা ঠিক কী কারণে ইউপি সদস্য রুবেলকে এভাবে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করল, সেটা বুঝতে পারছেন না। এ বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও কিছু বলতে পারছেন না। এরই মধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপি মেম্বার নিহতের ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগগুলো আমলে নেয়া হচ্ছে।